04/06/2025
THE WORLD STOPS FOR GAZA - এসব ইভেন্টের কোন আউটপুট আছে?
আমাদের একজন সিনিয়র সিএমএস মেম্বার Deloar HossAin প্রশ্ন করেছেন, বাংলাদেশে বসে ক্লাস/অফিস বর্জন করে গাজার কি লাভ, আর ইস্রাইলের কি ক্ষতি?
অসাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
"The World Stops for Gaza" জাতীয় অহিংস প্রতিবাদ কর্মসূচি—যেখানে মানুষ একযোগে কাজকর্ম, ব্যবসা, শিক্ষা, কিংবা অন্যান্য দৈনন্দিন কার্যক্রম বন্ধ রেখে গাজায় চলমান নিপীড়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়—তা নিঃসন্দেহে একটি কূটনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরির মাধ্যম হতে পারে, যদিও এর সরাসরি প্রভাব হয়তো বোমা থামাতে পারবে না। তবে এর রয়েছে কিছু উল্লেখযোগ্য কৌশলগত প্রভাব:
🔹 ১. গ্লোবাল পারসেপশন পাল্টে দিতে পারে
বিশ্বব্যাপী যদি লক্ষ লক্ষ মানুষ একসাথে প্রতিবাদে অংশ নেয়, তাহলে সেটা মিডিয়া কাভারেজ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং নীতিনির্ধারকদের চোখে এক বিশাল বার্তা পৌঁছে দেয়:
"মানুষ এটা আর মেনে নিচ্ছে না।"
এই মনস্তাত্ত্বিক চাপ রাজনীতিকদের অবস্থান পরিবর্তনে প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে যেখানকার রাজনীতিকরা ভোটনির্ভর। হাসুদির সীমিত আকারের গণতন্ত্র নয়।
🔹 ২. সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সংকেত
যদি বাণিজ্য, শিক্ষা, শিল্পক্ষেত্র কিংবা অন্যান্য ক্ষেত্রের মানুষ এই স্টপেজে অংশগ্রহণ করে, তাহলে এটা বৃহৎ অর্থনীতির জন্য এক ধরণের 'সংকেত পাঠানো' হয়। এটি বড় কর্পোরেশনগুলোর (যারা মার্কিন রাজনীতিতে বড় লবি হিসেবে কাজ করে) দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
যেমন:
"যদি জনমত ইসরাইলের বিরুদ্ধে এমন অবস্থানে যায় যে ব্যবসা ব্যাহত হয়, তাহলে কর্পোরেট লবিগুলোও আমেরিকান নীতিতে পরিবর্তন চায়বে।"
🔹 ৩. নৈতিক চাপ ও ইতিহাসে দাগ রেখে যাওয়া
ম্যান্ডেলা, গান্ধী কিংবা মার্টিন লুথার কিং-এর আন্দোলনগুলোও সরাসরি প্রথমে পরিবর্তন আনেনি, কিন্তু তারা নৈতিক ভিত্তি ও আন্তর্জাতিক সহানুভূতির জায়গা তৈরি করেছিল।
এধরনের প্রতিবাদ ইসরাইল-মার্কিন সামরিক অংশীদারিত্বকে আন্তর্জাতিকভাবে বিব্রতকর করে তুলতে পারে।
🔹 ৪. চলমান সংহতির বার্তা পাঠানো
গাজার মানুষের জন্য এটি হবে এক বড় বার্তা:
"তোমরা একা নও।" বিচিহীন শাসকরা বিচি বর্গা দিয়ে রাখলেও, বিশ্ববাসী তোমাদের সাথেই আছে।
এই বার্তা দখলদার শক্তির মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধকেও দুর্বল করে।
তাহলে চাপ কি আদৌ তৈরি হয়?
হ্যাঁ, হয়। কিন্তু সেটা ধাপে ধাপে—
জনমত → মিডিয়া কাভারেজ → রাজনৈতিক বিতর্ক → কংগ্রেশনাল চাপ → কূটনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন।
এই চেইনে অহিংস কর্মসূচিগুলো প্রথম ধাপ।
Dr. Ilias vai